Wednesday, October 11, 2017

বাংলাদেশ কার্টুন ফেস্ট-২০১৭


বাংলাদেশ কার্টুনিস্ট এসোসিয়েশনের বার্ষিক প্রদর্শনী অবশেষে ত্রি-বার্ষিকী আকারে হলেও শুরু হতে যাচ্ছে। মানে মাঝে প্রায় আড়াই বছর আমাদের কোন প্রদর্শনী নেই। কারণ? কারণ আর কিছুই না, স্পন্সর জটিলতা। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট যাদের করার কথা তারা বার বার শেষ মুহূর্তে জানাচ্ছিলো যে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু টাকার অভাবে কার্টুন প্রদর্শনী হবে না এটা ভাবতেই আমার মনে পড়লো সেই বছর ১৫ আগের করা প্রথম কার্টুন প্রদর্শনীর কথা। আক্ষরিক অর্থে পকেট ভোঁ ভোঁ। তখন মনে আছে আঁলিয়স ফ্রাঁসেজ গ্যালারি ছিল ফ্রি (এবং আমার ভুল না হয়ে থাকলে উলটো তখন যারা প্রদর্শনী করত তারা টাকাও পেত।) অন্য অনেক কার্টুনিস্টের মত আমারও কোন মোবাইল ফোন ছিল না। মনে আছে সবার নাম ঠিকানা নাম্বার অনেক কষ্টে জোগাড় করে একটা খাতায় লিখে নিয়েছিলাম, যেদিন সবাইকে কল দিতে হবে সেদিন সেই খাতা নিয়ে বের হয়ে মোড়ের ফোনের দোকানে যেতাম। ল্যান্ড ফোনে পার মিনিট ২ টাকা ছিল তাদের। এক টানা প্রায় তিরশটার মত কল করে থামতাম। দোকানদার ছেলেটা খুবই সন্দেহের চোখে তাকাতো যে ঘটনাটা কী? আমি তার সন্দেহ ভাঙ্গাতাম না। 

ফোনের পরের পর্ব ছিলো আরো কষ্টের, তখন ডিজিটাল কার্টুন বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই। দুই একজন বিত্তশালী যাদের স্ক্যানার আছে তারা মাঝে  মাঝে কার্টুন স্ক্যান করে ফটশপে কিছু রঙ চং করত, ওইটুকুই। তার মানে সবই ট্রাডিশনাল হার্ড কপি। অর্থাৎ প্রত্যেকের বাসায় গিয়ে গিয়ে নিয়ে আসো। আমার তখন খুবই গরিবী দশা (এখনো)। ভাগ্য ভাল লোকাল বাসে তখনো ওঠা যেত, আর ছিল গরীবের বন্ধু টেম্পো। সব মিলিয়ে দিন দশেক ছোটাছুটি করে কার্টুনও জোগাড় করে ফেলা যেত। সমস্যা হত ফ্রেম নিয়ে। এটা তো আর ফ্রি পাওয়া যাচ্ছে না। গুরু আহসান হাবীব বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লাগসই প্রজেক্ট হাতে নেন। তার একটা অংশ হিসেবে একবার করা হল ইলেকট্রিক চ্যানেলের ফ্রেম। মানে যেই প্লাস্টিকের ফাঁপা নল দিয়ে ইলেকট্রিকের লাইন ওয়ারিং করা হয় সেগুলি-ই ৪৫ ডিগ্রিতে কেটে কেটে জোড়া দিলে ফ্রেম বানানো যায়। এর চেয়ে সস্তা আর হয় না (যদিও প্রজেক্টটা প্রথমে সফল হয়নি, কেন জানি ফ্রেমগুলি কোণায় কোণায় ভালমত জোড়া লাগছিলো না) । এতেই কিন্তু শেষ না। প্রদর্শনীর লাগে পোস্টার, লাগে দাওয়াত কার্ড, লাগে ব্রোশিওর। একটা কাগজেই কিভাবে কেটেকুটে জোড়াতালি দিয়ে তিনটা জিনিস বের করা যায় সেটা সেবার দেখলাম। এবং আশ্চর্য ব্যাপার, দিনশেষে আঁলিয়সে যখন শুরু হল সেই প্রদর্শনী তখন কিন্তু এর পেছনের গরিবী হাল আর কারো চখেই পড়লো না। শেষে এসে দুর্দান্ত জম্পেশ হল সেই প্রদর্শনী। 

তার মানে সেই শূন্য হাতে (পকেটে) আমরা সেই ১৫ বছর আগের ইন্টারনেট বিহীন সময়ে যদি প্রদর্শনী করে ফেলতে পারি তবে এখন এই সময়ে এসে কেন পারবো না? যেই ভাবা সেই কাজ। আমাদের ৫ বছর ধরে অস্থায়ী অফিসে কারওয়ানবাজারের স্টার কাবাবে মিটিং চল্ল বারবার। ঠিক হল আমরা কার্টুনিস্টেরাই চাঁদা দিয়ে এবারের প্রদর্শনী করে ফেলব। হিসাব নিকাশ করে দেখা গেল তাতে মাথাপিছু খুবই অল্প পড়ছে। তাহলে আর বসে থাকা কেন? শুরু হয়ে গেল সব কাজ। ডিজিটাল যুগের সুবিধা টের পাওয়া গেল অচিরেই। ইভেন্টের মাধ্যমে সবাই জেনে গেল, মেইলের মাধ্যমে চলে এল কার্টুন। পৃন্ট হয়ে ফ্রেমে চলে গেল সব কাজ। শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রায় সবাই কাজ দিয়ে দিল। 

আগামীকাল বিকেল ৩ টায় শুরু হবে এবারের প্রদর্শনী, আমাদের প্রদর্শনী। অনেকটা পদ্মা সেতু করে ফেলার অনুভূতি হচ্ছে। স্পন্সর ছাড়াই এ সময়ে এত ব্যাবহুল একটা কাজ আমরা সবাই মিলে করে ফেললাম।
এবং এবারের ফ্রেমগুলি কাঠের :D

সবাইকে প্রদর্শনীতে আসার অনুরোধ জানাই।
--mehedi haque





Friday, June 2, 2017

BANCARAS ইফতার ২০১৭

অনেক অনেক দিন পরে আবার (প্রায়) সব কার্টুনিস্ট মিলেছিল কারওয়ানবাজারের হোটেল সুপার স্টারে। সেই চিরাচরিত কাবাব থাকলে চা নাই, চা থাকলে বিরিয়ানী হবে না, সব থাকলে হালিম পাওয়া যাবে না ইত্যাদী স্টার কাবাবীয় যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ শেষ করে শেষ মেশ ১৩ জন কার্টুনিস্ট ঠিকই মিলেছিলেন আজকের ইফতারীতে। এসোসিয়েশনের বর্তমান সভাপতি জাহিদ হাসান বেনু ভাইয়ের নেতৃত্বে সবাই মন দিয়ে চিকেন কাবাব, চিকন কাবাব ইত্যাকার নিয়ে খাওয়া দাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে কয়েকটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হয়। এগুলি নিম্নরূপ-

১. BANCARAS এর প্রদর্শনী এবার হবেই হবে
২. স্পন্সর না পেলে (পাবার সম্ভাবনা ক্ষীণ) নিজেরাই করে ফেলা হবে।
৩. প্রদর্শনী হবে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে।
৪. প্রদর্শনীর প্রথম পছন্দনীয় ভেন্যু দৃক গ্যালারি।
৫. প্রদর্শনীর কার্টুনের বিষয় হবে শব্দ দূষণ অথবা খাদ্যে ভেজাল।

গ্যালারি

অবশেষে গোল টেবিল পাওয়া যাওয়াতে এই প্রথম গোলটেবিল বৈঠক হল এসোসিয়েশনের

সবুজ হিমুঃ তারিক সস্ত্রীক ও কন্যাসমভিব্যাহারে (তিন চিকেন-গুনিয়া গুনিয়া সাবাড় করেছে আজ)

দুই বছর ধরে কার্টুন প্রদর্শনী না হওয়াতে সবাই মুখ থমথমে, এক পর্যায়ে আবেগ সামলাতে না পেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন কার্টুনিস্ট মামুন হোসাইন।

গোল টেবিল জোগাড় হলেও চেয়ার সংকুলান না হওয়াতে জুনিয়রদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, প্রতিবাদে তারা অচিরেই নিউ বাঙ্কারাস খুলবে বলে বিড়বিড় করে হুমকী দেয়। এবং ইফতার শেষ করার আগেই তারা 'আমরা ওয়ান্ডার উমেন দেখতে গেলাম' ছূতা দেখিয়ে চলে যায়।

দুই টেবিলের মাঝে বসে কোন প্লেটই ঠিক মত রাখতে না পেরে নিজের রাগ সামলাতে রাগ প্র্যাকটিসরত কার্টুনিস্ট রাজীব।

Wednesday, October 7, 2015

এসোসিয়েশনের পৃ-প্রদর্শনী মিটিং-২০১৫

এসোসিয়েশনের আরেক সাফল্য। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম।এ। কুদ্দুস ভাই (বামে) আর সভাপতি জাহিদ হাসান বেনুর প্রথম দেখা!

আড্ডা-সেলফি

পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের জন্যে বেনু ভাই কে চশমা দেয়া হল মিটিং এর মাঝামাঝি সময়।
আসছে বাংলাদেশ কার্টুন ফেস্ট ২০১৫ নিয়ে কার্টুনিস্টদেরভ একটা আড্ডা হয়ে গেল গত ৬ অক্টবর। কারওয়ানবাজারের স্টার রেস্টুরেন্ট এ লাচ্ছি যোগে এই সভা শুরু হয়। এবং শেষ হয় চা (চিনিসহ ও চিনি ছাড়া) সহ। সভার প্রথমে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অতিসত্বর কার্টুনিস্টদের একটা দিনব্যাপী পিকনিক অতি জরুরী বলে সর্বসম্মতিক্রমে লিপিবদ্ধ করা হয়। এবং সেটা যমুনা রিসোর্ট, পদ্মা রিসোর্ট না গাজিপুর সাফারী পার্ক এ হবে এ নিয়ে গম্ভীর আলোচনা হয়। শেষে এবারে প্রদর্শনীতে কী থাকতে পারে না পারে তা নিয়ে দ্রুত কিছু কথাবার্তার পরে সবাই আড্ডাস্থল ত্যাগ করেন।
মাত্র এক বছরে দুইবার এভাবে কার্টুনিস্টেরা একত্রে আড্ডা দিতে পেরে নিজেদের সাফল্যে পুলকিতচিত্তে যার যার ডেরায় ফেরেন।

Saturday, October 20, 2012

কার্টুন ও ক্যারিকেচার ওয়ার্কশপ

গত ১৬ই অক্টোবর হাতিরপুলের সেভেন হিল রেস্তোঁরায় হয়ে গেল কার্টুন ও ক্যরিকেচার ওয়ার্কশপ। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় কর্মরত প্রায় সব তরুণ কার্টুনিস্ট এই ওয়ার্কশপে আসতে পেরে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আসন্ন কার্টুন মেলা উপলক্ষ্যে সবাই এই ওয়ার্শকপে নড়েচড়ে বসেন (কেউ কেউ শুয়েও পড়েন) সকাল এগারোটা থেকেই গুটি গুটি পায়ে সবাই সাতপাহাড় রেস্তোরাতে এসে জমতে শুরু করেন। জানা যায় পাহাড়ে উঠতে হবে লিফটের ৬ এ। যথারীতি সবার আগে এসে পৌঁছান এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা কিংবদন্তী কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব। এর পর একে একে আধা ঘন্টার মধ্যে ১৫ জন কার্টুনিস্ট এসে যান। সর্বসম্মতিক্রমে প্রথমেই কফি ব্রেক দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। এর পর সবার হাল্কা ঝিমানির পর আহসান হাবীব তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। সেই সত্তরের দশকে তাঁরা যখন কার্টুন শুরু করেন তখনকার থেকে এখনকার সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদী নিয়ে কথা হয়। সবাই আবারো টের পান যে এ সময়ে ডিজিটাল টেকনোলজি তাদের জীবনের কত সময় বাঁচিয়ে দিয়েছে। সে সময়ে কপি পেস্ট বা একই ছবি বড় ছোট করার কোন উপায়ই ছিলো না। এই প্রসঙ্গেই তিনি আক্ষেপ করে বলেন সেই তুলনায় আমাদের কাজের পরিমাণ অনেক কম। বর্তমানের পত্রিকার ফান সাপ্লিমেন্টের জোয়ারকে তিনি পজিটিভলই দেখেন এ কথা বলার পর পর সেটার কিছু নেতিবাচক দিক নিয়েও বললেন। যেমন সেখানে 'কার্টুন' না হয়ে বরং ইলাস্ট্রেশন বেশী হচ্ছে। মানে অন্য কারো একটা 'লেখা' র সাথে কার্টুনিস্ট কিছু একটা এঁকে দিচ্ছেন। বিশুদ্ধ কার্টুন আর হচ্ছে না। আবার অনেক ভাল ভাল আইডিয়া দেখে হাসতে গিয়ে নিচে ছোট করে যখন দেখা যায় 'ওয়েবসাইট থেকে' তখন একটু দমে যেতে হয়। তাই সবাইকে আইডিয়া ভিত্তিক বেশী বেশী কাজ করতে আহবান জানান তিনি। এর পরেই কমিক্স নিয়ে কথা হয়। শুধু দুই তিন পাতা করে কার্টুন এঁকে হবে না, আমাদের এখন কমিক্স শুরু করতে হবে- বলেন তিনি। এবং এখনো কেন আমরা কমিক্স করছি না সেটা জানতে চান তিনি। জবাবে বের হয় 
- আলসেমী লাগে
- গল্প পাই না
- প্রকাশক কই
- কিভাবে করব
একে একে সব গুলিরই জবাব মেলে সাথে সাথে। রেডিমেড গল্প দিয়ে শুরু করতে বলা হয় সবাইকে (সাথে সাথে একটা কৌতুক বলে সবাইকে সেটা কমিক্স এর মত করে আঁকতে বলা হয়-সবাই প্রবল উৎসাহে আঁকতে বসে) কমিক্স আঁকলে প্রকাশক তিনি নিজে জোগাড় করে দেবেন এমন কথা দেন। কিভাবে করব এর জবাবে অচিরেই এই বিষয়ক একটা কর্মশালা করা যেতে পারে বলে জানান। দেখতে দেখতে দুপুরের খাবারের সময় হয়ে যাওয়ায় ইভেন্টের মূল সমন্বয়কারী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট 'শোরগোল' এর ডিরেক্টর ইমরান ভাই সবাইকে 'বুফে'' তে ডাকেন। (সবাই এখানে দ্বিগুণ বেগে ঝাঁপিয়ে পড়েন)। খাওয়া দাওয়া শেষে ঠিক ৩ টা ৩৩ মিনিটে এসে পৌঁছান শিশির ভট্টাচার্য। সে সময়ে প্রজেক্টরে চলতে থাকা জেসন সেইলারের ক্যারিকেচার বিষয়ক ভিডিও টিউটোরিয়াল তিনি সবার সাথেই বসে দেখেন। এর পরে ক্যারিকেচার নিয়ে খুবই সংক্ষেপে তরুণ কারটুনিস্টদের কিছু উপদেশু দেন তিনি। সবাইকে যার যার নিজের ক্যারিকেচার করতে বলা হয় (এ সময়ে অনেককেই কপি করার চেষ্টা করতে দেখা যায়, একজন তাঁর মানিব্যাগ থেকে নিজের ছবি দেখে লুকিয়ে লুকিয়ে আঁকতে গিয়ে শিশির স্যার এর হাতে ধরা খান)। সেখানে বেশ কিছু মজার ড্রয়িং চলবার পরে এরপর চলে শিশির ভট্টাচার্যের ক্যারিকেচার করার পালা। সেই পর্ব শেষে আসন্ন প্রদর্শনী নিয়ে তিনি বেশ কিছু মূল্যবান কথা বলেন। মূলতঃ আইডিয়া বিষয়ক। এর ফলে অনেকের কাছেই প্রদর্শনীতে কাজ দেবার জন্যে আইডিয়া করাটা আগের চে' সহজ হয়ে যায়।

বিকেল পঁচটার দিকে সবাই ধীরে ধীরে যে যার বাসায় (সবাই খেয়াল করলে দেখবেন তার পরদিন প্রায় কোন পত্রিকাতেই কার্টুন বের হয় নি,  সবাই এই কোর্সের জন্যে অফিস বাদ দিয়ে বসে ছিল)। ফিরবার সময় সবাই এক বাক্যে স্বীকার করলেন তার কার্টুনজীবনের এ পর্যন্ত সবচেয়ে দারুণ দিনটা এদিনই ছিল (অনেক বললেন সেটার জন্যে নাকি 'বুফে' টাই দায়ী)।

যাই হোক, এসোসিয়েশনের সবাই সেদিন বাংলাদেশের এই কিংবদন্তি দুই কার্টুনিস্টকে একত্রে পেয়ে যথেষ্ট গর্ব নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজে ফিরে যায়। কর্মশালার এটাই প্রাপ্তি।



কর্মশালার পোস্টার
  আহসান হাবীব
কার্টুনাচার্যের পাঠ

কমিক্স কেন হচ্ছে না (চুলের যত্ন নিয়েই অনেকে সময় পায় না অবশ্য)
হুমমমম



লাউঞ্জের চিপায়-১

লাউঞ্জের চিপায়-২



সর্বডানে মাসুম ভাই তাঁর আজদহা সাইজের পেন্সিলটা হারানোর আগে

সাদাত, ডেইলি স্টার থেকে পালিয়ে এসে সেভেন হিলে কমিক্স আঁকা চলছে

ফিসিফিস

আবু ভাই, ছবি তোলার সময় ভুড়ি চাপানোর ব্যর্থ চেষ্টা

আবু ভাই, দম বন্ধ অবস্থায়

কালের কন্ঠে পরদিন কার্টুন না যাবার কারণ- কার্টুনিস্ট বিপ্লব এখানে

ক্যারিকেচারিস্ট রিও ষুভ



আরাফাত- এ সব আমি বাঁ হাতেই পারি

কার্টুনিস্ট জাহানারা নার্গিস- বুফে'তে পাশে সাদাত ও কার্টুনিস্ট রাজীব

ইফতারির আগে (আরাফাতের দোয়া ও মোনাজাত)


ছবিটা একটু পরে তোলেন, লাইট না থাকলে আমি আসব না

তরুণ কার্টুন শিল্পীজ

ড্রয়িং এর শেষ সময় পর্যন্তও আইডিয়া পালটে যেতে পারে

সেলফ ক্যারিকেচার আঁকছেন মাস্টার ক্যারিকেচারিস্ট


আইডিয়া নিয়ে আরো ভাবতে হবে


আঁকো

জ্বী স্যার

গ্রুপ ছবি

হাস্যোজ্জ্বল গ্রুপ ছবি


সেদিন ওয়ার্কশপে কার্টুনিস্ট যারা যারা ছিলেন
-নাজমুল মাসুম-------------কালের কন্ঠ
-বিপ্লব--------------------কালের কন্ঠ
-ষুভ ---------------------কালের কন্ঠ
-আরাফাত করিম-----------উন্মাদ
-তন্ময়-------------------ডেইলি সান
-র‌্যাটস আসিফ------------ফৃ ল্যান্সার
-আবু হাসান --------------ফৃ ল্যান্সার
-রাজীব-------------------উন্মাদ
-জাহানারা নার্গিস-----------উন্মাদ
-মোর্শেদ মিশু--------------উন্মাদ
-সাদাত-------------------ডেইলী স্টার
-মেহেদী------------------নিউ এইজ
-এস এম রাকিব------------ ফৃ ল্যান্সার

Thursday, October 18, 2012

বাংলাদেশ কার্টুন ফেস্ট ২০১২


অবশেষে এসোসিয়েশন তার প্রতিশ্রুত কার্টুন মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে। এই প্রথমবারের মত একটি কার্টুন প্রদর্শনীতে কোন স্পন্সর পাওয়া গেল। তাদের ধন্যবাদ (যথাসময়ে তাঁদের নাম ও ধাম জানানো যাবে।) সামনের নভেম্বারের ১৫-১৯ দৃক গ্যালারির দুই ও তিনতলা জূড়ে বাংলাদেশের প্রথম কার্টুন মেলা শুরু হতে যাচ্ছে। এবারের বৈশিষ্ট্য হল প্রদর্শনীতে তিনটা বিভাগ থাকবে।
১। কার্টুন
২। ক্যারিকেচার
৩।এনিমেশন

শুধু ক্যারিকেচারের চল বাংলাদেশে প্রায় নেই বললেই চলে, আর সেই সাথে দেশে যে এখন এনিমেশন হয় সেটাও অনেকেই জানেন না। আশা করা যায় এবারে এই দুইটি জনপ্রিয় ধারার একটা পাব্লিক ডিসপ্লে সম্ভব হবে। সেই সাথে অনুষ্ঠান আরো প্রাণবন্ত করতে বেশ কিছু লাইভ ইভেন্ট (লাইভ ক্যারিকেচার, এনিমেশন শো, কাটআউট ফটোগ্রাফি) থাকছে।

এবারে কার্টুন মেলাটা শুরু হচ্ছে শুধু, পরেরবার এর ব্যপকতা ও বৈচিত্র্য দুই-ই আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। সুতরাং-
stay tuned

Friday, March 2, 2012

টিআইবির সাথে মিটিং

গত ২৬।০২।২০১২ তে বাংলাদেশ কার্টুনিস্ট এসোসিয়েশনের সাথে হয়ে গেল টিআইবির মিটিং। বাংলাদেশের কার্টুন আর টিআইবি গত ৬ বছরে ধীরে ধীরে যেন অবিচ্ছেদ্য হয়ে উঠেছে। প্রতি বছর টি আইবি দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে কার্টুন-প্রেমী সবার ধন্যবাদ কুড়িয়েছে। গত ২০০৯ সালে টি আইবি তাদের পরিচিত সকল কার্টুনিস্টদের নিয়ে রমনা চাইনিজে একটি মুক্ত মত বিনিময় সভার আয়োজন করে, কার্টুনিস্টদের সাথে আরো কিভাবে তাঁরা কাজ করতে পারেন- এই ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু। সেই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় এই ফেব্রুয়ারির মিটিং। মিটিং এ টিআইবি কার্টুনিস্টদের সাথে আরো ব্যাপকভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে ও একাধিক প্রকল্পের প্রাথমিক আলোচনা সেখানে করা হয়।


সভায় সভাপতিত্ব করেন টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান, এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মূল ভূমিকা পালন করেন এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সম্মানিত সদস্য কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব।
সভায় কার্টুনিস্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,

নিয়াজ চৌধুরী তুলি
জুনায়েদ আজীম চৌধুরী
আবুল হাসান আবু
মেহেদী হক
সাহানারা নার্গিস শিখা
সৈয়দ রাশাদ ঈমাম তন্ময়
রিফাত আল হাসান






বাঁ থেকে- কার্টুনিস্ট মেহেদী হক, জুনায়েদ, আবু, ও তুলি
আহসান হাবীব
ড. ইফতেখারুজ্জামান বক্তব্য রাখছেন
স্লাইড এ প্রেজেন্টেশন

Sunday, December 18, 2011

AGM (Annual GHOOM Meeting)

আসছে ৩০'শে ডিসেম্বর,ঢাকার সায়েন্স ল্যাব মোড়ের স্টার কাবাবের দুই তলায় বেলা ৩ টায়, বাংলাদেশ কার্টুনিস্ট এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় ব্যাপক খানাপিনার সাথে কিছু কাজের কথাও হবে। যেমন,
১। সিরিয়াস আড্ডা (দেশ ও দশ , নাম ও যশ)
২। ২০১১ সালে এসোসিয়েশনের কার্যক্রমের পর্যালোচনা
৩। গঠনতন্ত্রের সর্বশেষ খসড়া উত্থাপন ও ছাপাখানায় প্রেরণের পরিকল্পনা
৪। আসন্ন কার্টুন প্রদর্শনী ২০১২ নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ
৫। ২০১২ সালে এসোসিয়েশন থেকে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা
৬। বাৎসরিক সদস্য চাঁদা ১০০০ টাকা (মাত্র) সংগ্রহ

(শেষের পয়েন্ট টার ফন্ট 6 point এ হবে)